ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাদে জড়ালেন ট্রাম্প ও মাস্ক

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৬-০৬-২০২৫ ০১:১৯:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-০৬-২০২৫ ০১:২২:০৪ অপরাহ্ন
বিবাদে জড়ালেন ট্রাম্প ও মাস্ক ​ফাইল ছবি
কর ও ব্যয়সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলার সিইও ইলন মাস্কের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। এবার প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে সেই সম্পর্কে চিড় ধরল।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মাস্কের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ’। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে চুপ থাকেননি মাস্কও। সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। ট্রাম্প ও মাস্কের এমন বাকযুদ্ধের পর টেসলার শেয়ারদর বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না, সেটা আর থাকবে কি না।”

ট্রাম্পের বক্তব্য যখন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল, ঠিক তখনই মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার)–এ লাইভ টুইট করে জবাব দেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর সহায়তা ছাড়া ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জিততে পারতেন না। পাশাপাশি ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেও কড়া সমালোচনা করেন মাস্ক।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেই বৈঠকের সময়ই নজিরবিহীনভাবে মাস্কের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এমন প্রকাশ্য ক্ষোভ এই প্রথম।

মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এই বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। অথচ হঠাৎ করেই তিনি এর বিরোধিতা শুরু করেছেন।” তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। তাঁর বিদায় উপলক্ষে ওভাল অফিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ না যেতেই কর ও ব্যয় সংক্রান্ত বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের উত্থাপিত বাজেট বিলটি গত ২২ মে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়। মাস্ক বলেন, ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত এই বিল বাজেট ঘাটতি বাড়িয়েছে এবং সরকারি ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিয়েছে।

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ